খোন্দকার কাওছার হোসেন : বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে ৩০টি ওয়ার্ডের মধ্যে প্রতিদ্বন্ধি প্রাথী না থাকায় ৩টি ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছে। দলীয় গ্রুপিং মোকাবেলা ও মেয়র প্রার্থীকে সহযোগীতা করতে বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে কাউন্সিলর পদে কোন সমর্থন জানায়নি।
তবে দলটির নেতারা দলীয় পরিচয়ে প্রার্থী হয়েছেন। যাদের অনেকেই বর্তমান ও সাবেক কাউন্সিলর। স্রেফ ব্যক্তি ইমেজেই তারা লড়ছেন দলের জন্য। জোট সঙ্গী জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে এখানে দৃশ্যমান কোন সমঝোতা না থাকলেও তাদের প্রার্থীদের জন্য কয়েকটি ওয়ার্ডে দলটির কোন প্রার্থী নেই। আবার ব্যাতিক্রমও আছে ২ নম্বর ওয়ার্ডে। জোট মিত্র না হওয়া স্বত্তেও জাতীয় পার্টির অ্যাডভোকেট মরতুজা আবেদীনকে সমর্থন দেয়ার কারণে বিএনপির কোন প্রার্থী নেই এখানে। আর দলের গুরুত্বপূর্ণ একাধিক নেতা প্রার্থী হওয়ায় ২০ ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ড উন্মুক্ত রেখেছে আওয়ামী লীগ। ২০ নম্বরে বর্তমান কাউন্সিলর এবং মহানগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জিয়াউল রহমান বিপ্লব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ২৩ নম্বরে এমরান চৌধুরী জামাল, এনামুল হক বাহারের মধ্যে যিনি নির্বাচিত হবেন তাকেই দলীয় কাউন্সিলর হিসেবে মেনে নেবে আওয়ামী লীগ। এছাড়া বাকী ওয়ার্ডগুলোতে আওয়ামী লীগকে মোকাবেলা করতে হচ্ছে বিএনপি ও জামায়াত প্রার্থীদের।
নগরীর ১ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের আমির হোসেন বিশ্বাসকে মোকাবেলা করতে হচ্ছে ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বর্তমান কাউন্সিলর সৈয়দ সাইদুল হাসান মামুনকে। ২ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের মো. আহসান উল্লাহকে মোকাবেল করতে হবে বর্তমান কাউন্সিলর, নগর জাতীয় পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট মরতুজা আবেদীনকে। বিএনপি কৌশলগত কারণে এখানে কোনো প্রার্থী দেয়নি। দলটি এখানে জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে সমর্থন করবে বলে প্রচারনা রয়েছে। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের মজিবুর রহমান মৃধাকে মোকাবেলা করতে হবে বর্তমান কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা সৈয়দ হাবিবুর রহমান ফারুককে। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের তৌহিদুল ইসলাম বাদশাকে মোকাবেলা করতে হবে বিএনপির মো. ইউনুস মিয়াকে। ৫ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের শেখ আনোয়ার হোসেন সালেককে মোকাবেলা করতে হবে বর্তমান কাউন্সিলর বিএনপি নেতা মাইনুল হককে। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের আকতার উজ্জামানকে মোকাবেলা করতে হবে বর্তমান কাউন্সিলর বিএনপির এমডি হাবিবুর রহমানকে। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের মো. রফিকুল ইসলামকে মোকাবেলা করতে হবে বর্তমান কাউন্সিলর বিএনপির সৈয়দ আকবরকে। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে একমাত্র সংখ্যালঘু প্রাথী আওয়ামী লীগের সুরঞ্জিত দত্ত লিটুকে মোকাবেলা করতে হবে বর্তমান কাউন্সিলর সেলিম হাওলাদারকে। ৯ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের এস এম মোস্তাফিজুর রহমানকে মোকাবেলা করতে হবে বর্তমান কাউন্সিলর বিএনপির মো. হারুন-অর-রশিদকে। তবে এখানে মো. হারুন-অর-রশিদের অবস্থা মোটেই ভাল নয়। সেক্ষেত্রে বিএনপির অপর প্রার্থী সামীম রহমান কিংবা সৈয়দ জামাল হোসেন নোমানের সঙ্গে হারুনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। ১০ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের জয়নাল আবেদীন হাওলাদারকে মোকাবেলা করতে হবে নিজ দলের এটিএম শহিদুল্লাহকে। এখানে বিএনপির কোন প্রার্থী নেই। ১১ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের মজিবর রহমানকে মোকাবেলা করতে হবে নিজ দলের মারুফ জিয়াকে। ১২ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের মোঃ জাকির হোসেনকে মোকাবেলা করতে হবে বর্তমান কাউন্সিলর বিএনপির কে এম শহীদুল্লাহকে। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের মেহেদী পারভেজ খান আবিরকে মোকাবেলা করতে হবে বিএনপির মেজবাউল খান শাহীনকে। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের তৌহিদুর রহমানকে মোকাবেলা করতে হবে জামায়াতের এডভোকেট সালাউদ্দিন মাসুমকে। এখানে বিএনপি প্রার্থী দেয়নি। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী না থাকায় আওয়ামী লীগের লিয়াকত হোসেন খান বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ১৬ নম্বরে ও বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় আওয়ামী লীগের মোশারেফ আলী বাদশা বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ১৭ নম্বরে আওয়ামী লীগের আকতার উজ্জামান হিরুকে মোকাবেলা করতে হবে বিএনপির আনোয়ারকে। ১৮ নম্বরে আওয়ামী লীগের মোঃ কামরুজ্জামানকে মোকাবেলা করতে হবে বর্তমান কাউন্সিলর বিএনপির মীর জাহিদুল করিমকে। ১৯ নম্বরে ওয়ার্ডে প্রতিদ্বদ্ধী প্রার্থী না থাকায় আওয়ামী লীগের গাজী নঈমুল হোসেন লিটু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। ২০ নম্বর ওয়ার্ড উন্মুক্ত রেখেছে আওয়ামী লীগ। এখানে বিএনপির প্রার্থী নেই। এ ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর এবং মহানগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এস এম জাকির হোসেনকে মোকাবেলা করতে হবে নিজ দলের জিয়াউল রহমান বিপ্লবকে। ২১ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের শেখ সাঈদ আহমেদকে মোকাবেলা করতে হবে বর্তমান কাউন্সিলর আলতাফ মাহমুদ শিকদারকে। ২২ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের আনিছুর রহমানকে মোকাবেলা করতে হবে বিএনপির সাইফুল আহসান আজিমকে। ২৩ নম্বর ওয়ার্ড উন্মুক্ত রেখেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের এমরান চৌধুরী জামাল, এনামুল হক বাহারকে মোকাবেলা করতে হবে জামায়াতের মিজানুর রহমানকে। বিএনপি এখানে কোনো প্রার্থী দেয়নি। ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের শরীফ মো. আনিছুর রহমানকে মোকাবেলা করতে হবে বর্তমান কাউন্সিলর বিএনপির ফিরোজ আহমেদকে। ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের সাইদুর রহমান জাকিরকে মোকাবেলা করতে হবে বর্তমান কাউন্সিলর বিএনপির মহানগর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. জিয়াউদ্দিন শিকদারকে। ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের মোঃ হুমায়ুন কবিরকে মোকাবেলা করতে হবে বর্তমান কাউন্সিলর বিএনপির ফরিদ উদ্দীন আহমেদকে। ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের আবদুর রশিদ হাওলাদারতে মোকাবেলা করতে হবে মোঃ নুরুল ইসলামকে। ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেকে মোকাবেলা করতে হবে বর্তমান কাউন্সিলর হুমায়ুন কবিরকে। ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের মোঃ ফরিদ আহমেদকে মোকাবেলা করতে হবে বর্তমান কাউন্সিলর কাজী মনিরুল ইসলাম শহীদকে। ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের আজাদ হোসেন মোল্লা কালামকে মোকাবেলা করতে হবে বর্তমান কাউন্সিলর খাইরুল মামুন শাহীন।
Leave a Reply